জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছে বামপন্থী দলটি।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে সিপিবির এক সমাবেশ থেকে এই হুশিয়ারি দেয়া হয়।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘আওয়ামী সিন্ডিকেট ও লুটেরাদের এই সরকার অগণতান্ত্রিক এবং জুলুমে দেশ চালাচ্ছে। এই পার্লামেন্টের ৬২ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। তারা নিজ নিজ শ্রেণিস্বার্থ এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দেশ পরিচালনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার জনগণের পেটে লাথি মারছে। বাজার অর্থনীতির বিপরীতে জনগণের অর্থনীতিতে দেশ পরিচালনা করা না গেলে দেশের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। তীব্র গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।’
সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ডিজেল, কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সরকারের পক্ষে অপরাধমূলক কাজ। তেলের দাম বাড়লে পরিবহন ও যাতায়াতসহ সবকিছুর দাম বাড়বে। অর্থনীতিতে চাপ পড়বে। জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।
‘বিশ্ববাজারে দাম কমানোর পরও জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে লুটেরাদের এই সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। জনস্বার্থের কথা ন্যূনতম বিবেচনা করতে ব্যর্থ এই সরকারের উচিত ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সিপিবি জেলা-উপজেলায় ঘেরাও, অবরোধ এবং প্রয়োজনে হরতালের মতো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ ও সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশ থেকে জ্বালানি তেল ও সারের দাম না কমানো পর্যন্ত সারা দেশে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখতে এবং ঘেরাও-অবরোধ-হরতাল সংগঠিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।