দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক তাকে স্বাগত জানান।
কম্বোডিয়ার নমপেনে অনুষ্ঠিত আশিয়ান সম্মেলন থেকে তিনি সরাসরি ঢাকা আসেন। ঢাকা থেকে তিনি মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর যাবেন।
বিমানবন্দর থেকে ওয়াং ই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সম্মান জানান।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওয়াং ইর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আবদুল মোমেনের সঙ্গে আরও যোগ দেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সচিব, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) এবং পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে পাঁচটি দলিল সই হতে পারে। দলিলগুলো হচ্ছে- পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, দুই দেশের মধ্যে টেলিভিশন অনুষ্ঠান বিনিময় সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওয়ান চায়না নীতি ও বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিষয় উত্থাপন করা হবে।
অন্যদিকে চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ানসহ অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয় উত্থাপন হতে পারে।
২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পর এই প্রথমবারের মতো চীন থেকে উচ্চপর্যায়ের একজন রাজনৈতিক নেতা দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকা এলেন।
২০১৭ সালের নভেম্বরেও ওয়াং ই ঢাকায় এসেছিলেন, সেটি ছিল রোহিঙ্গা বিষয়ে।