বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোনো দেশের পক্ষে এভাবে ভর্তুকি দেয়া সম্ভব না: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২২ ১৮:২৬

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। কোনো দেশের পক্ষে বর্তমানে এভাবে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়।’

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে কোনো দেশের পক্ষে এভাবে বর্তমানে ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। কোনো দেশের পক্ষে বর্তমানে এভাবে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে শনিবার অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ‘স্পর্ধিত তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি শেখ কামাল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপালসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি টাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যতালিকা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির পর এ দেশে জ্বালানি তেলের দাম যে পর্যায়ে গিয়েছে, আশপাশের দেশগুলোতে এই পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি অনেক আগেই হয়েছে। তারা আমাদের মতো ভর্তুকি দেয়নি। আমাদের দেশে দাম কম হওয়ার কারণে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর জ্বালানি তেল পাচার হয়ে যাচ্ছিল।

‘মূল্য সমন্বয় করার পর এ দেশের জ্বালানি তেলের দাম আশপাশের দেশগুলোর পর্যায়ে গেছে মাত্র। তবে মূল্যবৃদ্ধির পরও আমাদের তেলের দাম অনেক দেশের তুলনায় কম।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন অনেক বিশেষজ্ঞ রাত ১২টায় টেলিভিশন গরম করবেন। এ দেশে তো নানা ধরনের বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তারা সবজান্তা বিশেষজ্ঞ। কেউ ঢাবিতে আইন পড়িয়ে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ, আবার কেউ অর্থনীতি পড়িয়ে তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞ। অর্থাৎ সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা টেলিভিশনে নানা ধরনের কথা বলবেন।’

তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খাতে প্রভাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি একটি বাসে ৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা থাকে এবং এর মধ্যে যদি ৭০ ভাগ আসন পূর্ণ থাকে, তাহলে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে মাত্র ২৯ পয়সা। বর্তমানে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা করে ভাড়া নেয়া হয়। সেটি বেড়ে এখন ২ টাকা ৯ পয়সা হবে। সরকার পরিবহন সেক্টরসহ সবার সঙ্গে বসবে এবং মূল্যবৃদ্ধির অবৈধ সুযোগ যাতে কেউ নিতে না পারে, সেদিকে লক্ষ রাখবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বিএনপি নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তারা বলছেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে, আর শ্রীলঙ্কা সারা পৃথিবীর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। এটিই ওই দেশের সঙ্গে আমাদের প্রধান পার্থক্য।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ সুদানকেও ঋণ দিয়েছে। এ দেশ এখন যেমন ঋণ নেয়, তেমনি ঋণ দেয়ও। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দেশের অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন, বিধায় অনেক বড় বড় দেশ খেলাপি হলেও ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ এক দিনের জন্যও খেলাপি হয়নি। কারণ এ দেশের অর্থনীতির ভিত অনেক গভীরে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ শেখ কামালের জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং তার সঙ্গে থাকা স্মৃতি তুলে ধরে শেখ কামাল স্মরণে নিজের লেখা কবিতা ‘তুমি কবে আবার আসবে’ আবৃত্তি করেন।

শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন। বিশেষ করে ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যেত।’

ফজলে শামস বলেন, ‘আজ যখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলার কথা বলছি, তখন শেখ কামালের মতো একজন নেতার অভাব অনুভূত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে যেমন দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তেমনি আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের চেতনাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখতে পারে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উচিত চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব জায়গায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা আলোচনা করা।

‘কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ছাত্রলীগ কর্মীরা চুপ থাকে। তাদের চুপ করে থাকা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উন্নয়ন নিয়ে লেখালেখি করতে হবে।’

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, বরিকুল ইসলাম বাঁধন, আইনবিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস, হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর