ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাস ভাড়া সমন্বয় করতে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পরিবহন নেতারা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, পরিচালক (প্রশাসন) মো. আজিজুল ইসলাম, পরিচালক (অপারেশন) মো. লোকমান হোসেন মোল্লা, সচিব এ টি এম কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত আছেন।
বৈঠক থেকে রাজধানী ও দূরপাল্লায় চলাচলকারী ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া সমন্বয়ের জন্য নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করছেন পরিবহনসংশ্লিষ্টরা।
গতকাল শুক্রবার রাতে সরকার এক প্রজ্ঞাপন দিয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ১৩০ টাকা লিটার।
এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনে বাড়ানো হয় লিটারে ৩৪ টাকা। অকটেনে প্রতি লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এই হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ আর অকটেন-পেট্রোলে বেড়েছে ৫১ শতাংশ।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে একবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার। তখন বাস ভাড়া সেই মূল্য অনুযায়ী সমন্বয় করে পরিবহন মালিক ও সরকার।
সে সময় তিন দিন বাস বন্ধ রাখার পর সরকার ও পরিবহন মালিকরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, দূরপাল্লার বাস ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বেড়ে করা হয় ১ টাকা ৮০ পয়সা। আর মহানগরে বড় বাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয় ২ টাকা ১৫ পয়সা। আর মিনিবাসে তা ১০ পয়সা কম করা হয়।