জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শ্যামলীর শিশুমেলা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
মিছিল শেষ হওয়ার পর শিশুমেলা এলাকায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অবশ্য গাড়িটি মিছিল থেকে ভাঙচুর করা হয়নি দাবি করে দলটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেছেন, গাড়িটি ভাঙচুর করেছে ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে শ্যামলী এলাকায় একটি মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষে শিশুমেলায় একটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
মিছিলটি কারা করেছে, তা নিশ্চিতভাবে জানাতে না পারলেও একটি মিছিল হয়েছে। আর কোনো মিছিল হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশেই এই কর্মকর্তা। ভাঙচুর করা গাড়িটি পুলিশের কোন ইউনিটের, তা বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজে বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে, ‘সব ধরনের জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ’। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ডা. রেজাউল করিম।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলটি শ্যামলী থেকে শিশুমেলা মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে এক নেতাকে হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে অবশ্য গাড়ি ভাঙচুরের দৃশ্য দেখা যায়নি।
৩১ সেকেন্ডের অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুমেলা মোড়ে আসার পর মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, জামায়াতের মিছিল থেকেই পুলিশের গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
তবে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘কারা ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের শনাক্তে আমরা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’
মিছিল ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মিছিল করেছি। আমাদের মিছিল থেকে কোনো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়নি। তবে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি গাড়ি ভেঙেছে।’