দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন লঞ্চমালিকরা। ভাড়া সমন্বয়ে মালিকরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছেন বলে জানান লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা।
তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঘাটে যাত্রী নেই, ভাড়া কমিয়েও যাত্রী পাচ্ছি না। আমরা ভালো নেই। আমাদেরও একটু ভালো থাকা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিগগিরই ভাড়া নিয়ে মিটিং করব। আমরা একেকজন একেক জায়গায়, তাই এখনও সময় নির্ধারণ করা যায়নি। সবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছি। আজ (শনিবার) মিটিংয়ে বসা যাবে কি না সন্দেহ আছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই বৈঠক হবে।’
সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমরা দ্রুতই বৈঠকে বসতে চাচ্ছি। আমাদের একটা সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন। আমরা আলোচিত এজেন্ডা নিয়ে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসব।’
শুক্রবার রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪, অকটেন ১৩৫ ও পেট্রলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে; যা আগের চেয়ে ডিজেলে লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ টাকা এবং পেট্রলে ৪৪ টাকা বেশি।
নতুন এই দাম গতকালই রাত ১২টা থেকে কার্যকর করেছে সরকার।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ডেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া এখন ৩৫২ টাকা হলেও বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে মাত্র ১৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
তবে কেবিন ভাড়া প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে লঞ্চে যাত্রী কমতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে কমেছে ভাড়াও।