পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বাড়ার খবরে আগেভাগে পাম্প বন্ধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন রংপুরের বাইকাররা।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বরে এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যা রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলে। এতে শত শত বাইকার অংশ নেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া আসাদুল নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ‘তেলের দাম রাত ১২টা থেকে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণা দেয়ার পরপরই পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধ রয়েছে। তেল নিতে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না; দিচ্ছেও না। অনেকে বলছে তেল নাই।’
আব্দুল হক নামের আরেকজন বলেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব? ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়াতে হবে? আর এটা কী করে সম্ভব যে, এত টাকা দাম বাড়াতে হবে?’
রাব্বি নামের এক চালক বলেন, ‘পেট্রল পাম্প বন্ধ করে ওরা পালিয়েছে। সব পেট্রল পাম্প বন্ধ। আমরা আগের দামেই পেট্রল চাই। পাম্প বন্ধ অথচ পুলিশ কিছুই বলছে না।’
রোকন নামের এক বাইক চালকের দাবি, ভোক্তা অধিকারের হটলাইনে কল দিয়ে তিনি নম্বর বন্ধ পেয়েছেন।
কেউ কেউ বলছেন, তাদের জরুরি তেলের দরকার হওয়ায় নতুন দামেও এখন তেল পাচ্ছেন না।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, পেট্রল না পেয়ে মোটরসাইকেলচালকরা সড়কে অবস্থান নেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
প্রেক্ষাপট
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার সন্ধ্যার প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।
অন্যদিকে অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে।
এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের বর্ধিত এ দাম কার্যকর হয় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এর আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি তেল নিতে পেট্রল পাম্পে ভিড় জমান গাড়িচালকরা, তবে অনেক জায়গায় বন্ধ করে দেয়া হয় পেট্রল পাম্প।