বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির দুই গ্রুপে মারামারি, মামলা

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্থগিত ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের দুই গ্রুপে মারামারি হয়েছে। এতে সম্পাদক গ্রুপের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের আহত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

শুক্রবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেন শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন। নথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।’

মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির গ্রুপের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওশের বিন আলম ডেভিড, একই শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের জাহিদুল ইসলাম হাসান ও পরিসংখ্যান বিভাগের অর্পন সাহা শান্তসহ আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত নামে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান মুন বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্লাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে আসলে এক নম্বর আসামি নওশের বিন আলম ডেভিড জরুরি কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে নিয়ে যান। পরে সেখানে ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম হাসানসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন মিলে ডেভিডের প্রেমিকার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলাকে কেন্দ্র করে অতর্কিতভাবে মুনের উপর হামলা করেন। পরে ওইদিন দুপুরে মুন তার বন্ধুদের নিয়ে কোতয়ালী থানার উদ্দেশে রওনা করলে আসামি ডেভিড, জাহিদুল ইসলাম ও অর্পন সাহা শান্তসহ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঠা নিয়ে পুনরায় মুনসহ তার বন্ধুদের উপর হামলা করে মারধর করে।

এছাড়া ওই দিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে ফের মেহেদী হাসান মুনের উপর অর্পন সাহা শান্তসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন মিলে হামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে আহত মুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে গত ১ জুন জবি ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

এ বিভাগের আরো খবর