রাত ১২টা থেকে অকটেনের দাম প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা ঘোষণা পরপরই দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের পেট্রল পাম্পগুলোতে তেল কেনার হিড়িক পড়েছে। এরই মধ্যে অনেক পাম্প বন্ধ করে চলে গেছেন মালিক-কর্মচারীরা।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুমিল্লা নগরীতে রাত ১১টার দিকে দেখা যায়, চক বাজার নুরুল হুদা পাম্পে তেল কিনতে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।
নুরুল হুদা স্টেশনের ক্যাশিয়ার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘রাত ১১টা থেকে পাম্পে মোটরবাইক চালকদের ভিড় জমে। বাইক ও গাড়ি চাকলদের কাছে তেল বিক্রি করছি। যারা কন্টেইনার নিয়ে আসছে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছি।’
নগরীর টমছম ব্রিজ, চকবাজার, গুধির পুকুরপাড় ও শাসনগাছা এলাকার পেট্রল পাম্পে খবর নিয়ে জানা যায়, তারা রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতি বাইকে ১ লিটার পর্যন্ত তেল বিক্রি করেছেন। এর বেশি কাউকে দেননি। রাত সোয়া ১১টায় তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পেট্রল পাম্প থেকে তেল নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় একটি পাম্পে তেল না পেয়ে আলী হোসেন বলেন, ‘অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ার কারণে মালিকরা তেল দিচ্ছেন না। মালিকরা বলছেন, তেল নেই। কিন্তু ১২টার পর আসলে ঠিকই বেশি দামে তেল কিনতে পারবো। দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে।’
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পরপরই যশোরেও তেল সংগ্রহের জন্য পাম্পগুলোতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এক পর্যায়ে কোনো কোনো পাম্প তেল বিক্রি বন্ধও করে দেয়।
ফেনীতে দাম বাড়ার খবরে পাম্প বন্ধ করে বাতি নিভিয়ে সরে গেছেন পাম্প মালিকরা।
এ ছাড়া মাগুরা শহরে ফিলিং স্টেশনগুলোতে উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শেরপুরে পেট্রল পাম্পগুলোতে ভিড় জমান গাড়িচালকরা। বিশেষ করে পাম্পগুলোতে মোটরসাইকেল চালকদের ভিড় বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে পেট্রলপাম্প কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তেল না দেয়ার অভিযোগ তুলছেন গাড়িচালকরা। দু-একটি পাম্পে তেল দিলেও কম পরিমাণে দেয়া হচ্ছে।শহরের কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তেল না পেয়ে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন গাড়িচালকরা।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি পাম্প কর্তৃপক্ষ।
নরসিংদীতে নির্ধারিত সময়ের আগে তেল কিনতে মরিয়া হয়ে ওঠেন গাড়ির চালক ও বাইকাররা। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মনোহরদী, রায়পুরা, মাধবদী ও শিবপুরে পাম্পে তেল না দেয়ার অভিযোগ করেন চালকরা।