মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচ বছর কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে দীর্ঘ এক যুগ পালিয়ে বেড়ান তিনি।
ঢাকার সাভারের শাহিবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দণ্ডিত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. আরিফ হোসেন।
দণ্ডিত ৪৭ বছরের জাকির হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের জিয়নপুর এলাকায়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী নিপা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জাকির হোসেন। এ সময় কান্নাকাটি করতে থাকলে তিন বছরের মেয়ে জ্যোতিকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় পরদিন জাকিরসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আবু হানিফ। তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলে মাসখানেক পর জাকির ছাড়া বাকিরা জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যান।
পাঁচ বছর কারাভোগের পর ২০১০ সালে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান জাকিরও।
আসামি জাকির হোসেন, বাবা নইম উদ্দিন শেখ, মা মালেকা বানু, ভাবি তাহমিনা আক্তার, ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, চাচাতো ভাই পারভেজ, জাকিরের বন্ধু আমিনুল ইসলাম, শ্যালক স্বপন ও হাসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারিক আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে জাকিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
খালাস দেয়া হয় মালেকা বানুকে। নইম উদ্দিন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয় আগেই।
কোম্পানি কমান্ডার বলেন, ‘জাকির হোসেন জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে নাম পাল্টে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করতে থাকেন তিনি। দীর্ঘ ১২ বছর পর বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভারের শাহিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’