বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২২ ১৫:৪৬

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম খান তার সম্পদের যে হিসাব জমা দিয়েছেন, তাতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৯ টাকা গোপন করেছেন বলে প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া তিনি ১২ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন।

প্রায় ২৭ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন এবং সাড়ে ১২ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়ে শরীয়তপুরের এক ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন।

অভিযুক্ত ৫২ বছর বয়সী আব্দুস সালাম খান জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কাজ করেন। তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালুচরা এলাকার বাসিন্দা।

২০২০ সালে সালামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আসে। এরপর দুদকের সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল তার সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন।

সালাম সে সময় নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছিলেন। দুদকের অনুসন্ধান শুরু হলে থেকে তাকে সদরের চন্দ্রপুর ইউনিয়নে বদলি করা হয়। এরপর তাকে পাঠানো হয় জাজিরার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে।

অনুসন্ধান কর্মকর্তার প্রতিবেদনে দেখা যায়, সালাম তার সম্পদের যে হিসাব জমা দিয়েছেন, তাতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৯ টাকা গোপন করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ ছাড়া তিনি ১২ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত ২০ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয়া হয়। ১ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুর থেকে মামলা করার জন্য একজন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। তখন বৃহস্পতিবার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান মামলাটি করেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, প্রমাণ দুদকের কাছে রয়েছে। দুদকের আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে মামলা করা হয়েছে।’

তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আব্দুস সালাম খান বলেছেন, ‘আমার আয়-বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই। দুদক অনুসন্ধান করেও তা বের করতে পারেনি। আমার যা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে।’

তার বিরুদ্ধে দুদকে কোনো মামলা করেছে কি না, সেটিও জানা নেই বলে দাবি করেন সালাম।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহ জানান, ‘আয় বহির্ভূত সস্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখনও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ চূড়ান্ত হয়নি। নিয়োগের পর তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।’

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, ‘মামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমি নিশ্চিত নই। মামলা হয়ে থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন‌ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর