বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২২ ১৪:১৫

টাঙ্গাইলের এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাস ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আগামীকাল আদালতে তুলে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।’

টাঙ্গাইলে নৈশ কোচে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ।

পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনকে আগামীকাল আদালতে তুলে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।’

গ্রেপ্তার দুজন হলেন, মো. আব্দুল আউয়াল ও মো. নুরনবী। এ নিয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণের এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

৩০ বছর বয়সী আউয়ালের বাড়ি কালিয়াকৈরের কাঞ্চনপুর গ্রামে। ২৬ বছর বয়সী নুরনবীর বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধোনারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামে; তিনি কালিয়াকৈরের শিলাবহ পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে কালিয়াকৈরের টান সূত্রাপুর এলাকা থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টার দিকে নুরনবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকালে ছিনিয়ে নেয়া দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এসপি কায়সার।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তার কাছ থেকে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে লুট করা ৩টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। বিকেলেই তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।

এসপি জানান, বাস ডাকাতির শুরুতে রাজা ঈগল এক্সপ্রেস বাসের চালককে সরিয়ে নিজে চালানোর দায়িত্ব নেন। ভোররাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় যাত্রীসহ বাসটি ফেলে লুটের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।

ডাকাতি ও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মধুপুর থানায় মামলা করেন।

পুলিশের বর্ণনায় যা ঘটেছিল

এসপি কায়সার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি সিরাজগঞ্জ রোডে জনতা নামের খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। সেখানে ৩০ মিনিটের মতো বিরতি শেষে বাসটি ফের ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

পথে তিনটি স্থান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজন করে মোট ১২ জন ডাকাত যাত্রীবেশে বাসে ওঠেন এবং পেছনের দিকে খালি সিটে বসেন।

যমুনা সেতু (বঙ্গবন্ধু সেতু) পার হওয়ার আধা ঘণ্টা পর (রাত দেড়টার দিকে) টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ছুরি, চাকুসহ দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের চালককে সিট থেকে উঠিয়ে হাত-পা বেঁধে পেছনে সিটের নিচে ফেলে রাখে।

টহল পুলিশের কাছে ধরা পড়া এড়াতে তারা বাসটিকে গোড়াই থেকে ইউটার্ন করে এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ রোড ধরে যেতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে ডাকাত দল বাসটির জানালার পর্দা ও যাত্রীদের পরনের বিভিন্ন কাপড় ছিঁড়ে চোখ এবং হাত বেঁধে ফেলে।

পরে ডাকাতরা বাসের ২৪ যাত্রীর কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাসের এক নারীকে পাঁচ-ছয়জন ধর্ষণ করে।

এ বিভাগের আরো খবর