লক্ষ্মীপুরের সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হোসেন আহমদ নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানায় শুক্রবার সকালে ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত হোসেন আহমদের ভাই জাকির হোসেন।
সংঘর্ষের পর আটক চারজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওই চারজন হলেন, আবদুর রহিম, মেহেদী হাসান, শাহনাজ বেগম ও জাহানারা বেগম। সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার দিঘলীর রমাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংঘর্ষ হয়।
পরে বিকেল ও রাতে রমাপুর ও দিঘলীতে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক করা হয়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে একজন নিহত ও গুরুতর আহতের ঘটনায় থানায় ১১ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
‘প্রাথমিকভাবে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত হোসেনের ভাই আমির হোসেন, তার ভাগিনা মনির হোসেন, আমিরের দুই ছেলে আকরাম হোসেন ও নাজমুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ছাড়া হোসেন আহমদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রমাপুর এলাকার আবদুস সাত্তার ও ইউনুছ মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা মারা গেলেও বিরোধ গড়ায় তাদের সন্তানদের মধ্যেও। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ইউনুছের ছেলে সাইদুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক সাত্তারের ঘরে ঢুকে দরজা-জানালা লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে মিলনসহ তার লোকজন ৬ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় হোসেনের মৃত্যু হয়। বাকিদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যালে পাঠায় চিকিৎসকরা।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হোসেন আহমদকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
‘তাদের প্রত্যেকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দা-এর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে তাদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’