জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাহিদ হকের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।
হলের সামনে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো, নতুন ক্যান্টিন চালু করা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বাড়ানো, হল সংস্কারের নামে দীর্ঘ সূত্রিতার দ্রুত অবসান ও সংস্কার কাজে যথাযথ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা, নতুন নতুন নিয়মের নামে ছাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করা, হলগুলো পুরোপুরি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা ও রিডিং রুম নির্মাণ করা।
অবস্থান কর্মসূচীতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বারবার মিথ্যা আশ্বাস দেয়ার পরেও হল প্রশাসন ক্যান্টিনের খাবারের নিম্নমানের কোনো সমাধান করছে না। কোনো সমস্যা সমাধানে প্রভোস্টকে বার বার কল দিলে তিনি রিসিভ করেন না উল্টো ব্লক করে রাখেন শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর।’
এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রভোস্ট হলে ফিস্টের প্রোগ্রাম ছাড়া কখনও আসেন না। তিনি পুরুষ না নারী সেটাও তারা জানেন না। প্রভোস্টের কাছ থেকে একটি সিগনেচার নিতেও সপ্তাহের মতো সময় লাগে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে প্রভোস্টকে কখনও শিক্ষার্থীদের পাশে দেখিনি। তাকে কোনো সমস্যার কথা জানালেই বলেন লিখিত অভিযোগ দিতে কিন্তু পরে আর কোনো সমাধান হয় না।’
এই বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ওয়ার্ডেন অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সমস্যার কথা শুনে হলে আসছি। শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রভোস্ট ম্যাডামকে আসতে হবে। আমরা জেনেছি উনি অসুস্থ। কয়েকবার মোবাইলে কল দিয়ে প্রভোস্ট ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, উনি ফোন রিসিভ করেননি।’
প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো শুনেছি। শিক্ষার্থীদের ফোন না ধরা ও নম্বর ব্লক করে দেয়ার বিষয় নিয়ে আমরা তার সঙ্গে কথা বলব৷ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে জানতে নওয়াব ফয়জুন্নেসার প্রভোস্ট অধ্যাপক নাহিদ হককে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।