বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মদ উদ্ধার: আজিজুল ও তার ছেলেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২২ ২২:১০

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।’

নারায়ণগঞ্জে দুই কনটেইনার বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলে মিজানুর রহমান আশিককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তাদের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

পরে সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।’

আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২৩ জুলাই র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিপুরদী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী দুটি কনটেইনার জব্দ করে। এ কনটেইনার দুটি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মাদকের মূল্য ৩১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ভ্যাটসহ মূল্য দাঁড়ায় ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ ঘটনায় পরদিন ২৪ জুলাই রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা করে র‌্যাব।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নাজমুল মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, মো. আজিজুল ইসলাম, তার দুই ছেলে মিজানুর রহমান আশিক ও আব্দুল আহাদ, জাফর আহমেদ, শামীম, রায়হান, দুবাই প্রবাসী অজ্ঞাত, দিপু এবং বাদশা।

তাদের মধ্যে আজিজুল ইসলামের ছোট ছেলে আব্দুল আহাদকে ২৪ জুলাই সকালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয় নাজমুল ও সাইফুলকে।

র‌্যাব জানায়, এ চক্রটি দেশে টিভি ও গাড়ির পার্টস ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বিপণন নেটওয়ার্ক তৈরি করে। চক্রটি বিদেশ থেকে অবৈধভাবে মদ এনে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, রাজধানীর বংশাল ও ওয়ারীতে ওয়্যার হাউসে রাখত। পরে সুবিধাজনক সময়ে তা বিপণন করত। ক্ষেত্রবিশেষে ট্রাক ও কনটেইনার থেকে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হতো।

এ বিভাগের আরো খবর