অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে তাকে ১৬ আগস্ট হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
দুদক উপপরিচালক রেজাউল করিমের সই করা তলবি নোটিশ সিদ্দিকের ফরিদপুরের বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
দুদক উপপরিচালক রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে চাঁদা দাবি এবং টেন্ডারবাজির অভিযোগ স্বীকার করেছেন সিদ্দিকুর।
চাঁদাবাজি মামলায় ২০২১ সালে ১০ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি সূত্রে দুদক কর্মকর্তা জানান, জবানবন্দিতে সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কয়েক বছর ঢাকায় ব্যবসা করার পর ২০১৬ সালের দিকে ফরিদপুরে ফেরেন। তখন গণপূর্ত ও শিক্ষা অধিদপ্তরে ঠিকাদারি শুরু করেন। সেখানে তাকে ১০ থেকে ১৩ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ করতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রোগ্রামে তাকে ডোনেশন দিতে হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে চাঁদা দিয়ে ঠিকাদারি কাজ করেছেন।
ফরিদপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে চাঁদাবাজির মামলায় ২০২১ সালে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহযোগিতায় ধানমন্ডির ১১ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখন তিনি জামিনে আছেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে দুদক কর্মকর্তা আরও জানান, সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় চারটি মামলা আছে। এর মধ্যে তিনটি মামলা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের। অপর একটি হত্যা মামলা। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তিনটি মামলায় তার নামে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন। তার বিরুদ্ধে আরও চারটি সিআর মামলা আছে।