আর ‘কাঁদতে চান না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, এখন জেগে উঠতে হবে। সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে।
শান্তিপূর্ণ গণ-আন্দোলন শুরু করে ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিম মাতব্বর ও ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকারও তিনি করেছেন।
গত রোববার সংঘর্ষের দিনই মারা যান রহিম আর গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন নুরে আলম। বুধবার মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আলমের জানাজায় যোগ দিয়ে ফখরুল বলেন, এই সরকার নির্যাতন করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী জুলুম- নির্যাতনকারী সরকারের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে হবে।
‘এ জন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণভাবে গণ-আন্দোলন শুরু করে নুরে আলম ও রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেব।’
ফখরুল বলেন, ‘পিতার কাঁধে পূত্রের লাশ। এর চেয়ে বেদনার, যন্ত্রণার কিছু নাই। আমাদের ছেলে নুরে আলম ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমকে। আরও ১৯ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একদলীয় শাসন পোক্ত করার জন্য ১৫ বছর ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।’
এ সময় তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। জানান, আগামী শুক্র থেকে রোববার শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে, উত্তোলন হবে কালো পতাকা।
৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষক দল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।
নূরে আলামের মরদেহ নয়াপল্টনে বিএনপির কার্য়ালয়ে আনা হলে দল ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জানাজা পড়েন। এরপর তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ দলের অন্য নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা জানাজায় অংশ নেন।