ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদী থেকে নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ঠাকুরগাঁওয়ের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউসের ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৫ বছরের ত্রৈলক্ষ্য বর্মণ সদরের আকচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি আকচা দক্ষিণ বঠিনা ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
স্থানীয়দের বরাতে আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, ‘শিক্ষকের বাড়ি স্কুল থেকে নদীর ওপারে। নদীতে পানি কম থাকায় তিনি প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুলে যেতেন। গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বেড়ে গেছে। বুধবার বিকেলের দিকে সাঁতরে এ নদী পার হতে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হন তিনি।
টাঙ্গনের বঠিনা ঘাটে নৌকা ছিল, তবে মাঝি ছিল না। তাড়া থাকায় নৌকায় না চড়ে সাঁতরে নদী পার হয়ে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
স্থানীয় রবিন রায় বলেন, ‘নদীতে সারা বছরই হাঁটুজল থাকে৷ আমরা প্রতিদিনই হেঁটে নদী পার হই। এখন বর্ষার কারণে নদীর পানি কিছুটা বাড়তি।
‘এই বঠিনা ঘাটে প্রায়ই কয়েকটি ড্রেজার মেশিন চলে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনও করা হয়। তাই নদীতে আসলে কোথায় কেমন গভীরতা কেমনে বুঝবেন। আমার ধারণা, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় গভীর গর্ত হয়েছে, আর সেখানেই শিক্ষক ডুবেছেন।’
সেই ঘাটে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয় কি না জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিন মাস আগে ড্রেজার দিয়ে তো নদী খননের কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করে কি না তা জানি না।’
ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন বলেন, ‘জেলা ডুবুরি দল না থাকায় রংপুরের ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এসে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পাওয়া যায়নি। পরে নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে আট কিলোমিটার দূরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মরদেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা।’
পরে ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।