ছাত্রদল আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয়- এই বিষয়টি না ভাবতে প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। বলেছেন, বিএনপি নেতাদের পরামর্শে তারা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন।
গত রোববার ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে মারা যাওয়া জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের জানাজায় এ কথা বলেন শ্রাবণ।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই জানাজা হয়। আগের দিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান আলম।
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপির দেশজুড়ে বিক্ষোভে ভোলায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় নেতা-কর্মীদের। সেদিনই মারা যান স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মাতব্বর। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপিকে আরও বিক্ষুব্ধ করেছে ঘটনার তিন দিন পর নুরে আলমের মৃত্যু।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি করেছে। তবে বাহিনীটি দাবি করছে, ভোতা কিছুর আঘাতে রহিমের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই হয়েছে মামলা।
নুরে আলমের মৃত্যুর কারণ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার দেহে ছররা গুলির আলামত পাওয়া গেছে।
জানাজায় ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, ‘সহযোদ্ধাকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত। প্রশাসনের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা মনে করবেন না, ছাত্রদল আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তত নাই।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল বিএনপির পরামর্শ মতো শাস্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচির নির্দেশনা আছে। আমাদের সহযোদ্ধার মরমেহ পৌঁছিয়ে দেয়ার পর ছাত্রদল আগামী কর্মসূচির নির্দেশনার দেবে।’
নুরে আলমের মরদেহ বিএনপির কার্যালয়ে আনা হলে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সামনের সড়কে জানাজা পড়েন। পরে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
জানাজার আগে নুরে আলমের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে ভোলার পথে যাত্রা শুরু করেন স্বজনরা।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।