ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রদল নেতার ময়নাতদন্তে তার দেহে ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত রোববার দেশজুড়ে বিএনপির বিক্ষোভের মধ্যে ভোলায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মোট দুইজন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মাতব্বর। তিন দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম।
বিএনপির অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি চালালে কর্মসূচিতে থাকা নেতা-কর্মীরা আহত হন। তবে পুলিশ গুলির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, আব্দুর রহিম মারা গেছেন ভোঁতা কিছুর আঘাতে। এই ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামেই হয়েছে মামলা।
বৃহস্পতিবার ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের ময়নাতদন্তে পুলিশের গুলির প্রমাণ মিলেছে। তার দেহে ছররা গুলির আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ময়নাতদন্ত শুরু করে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। শেষ হয় ১২টার দিকে।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে মোখলেসুর বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা বেশ কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছি। ছররা গুলির আলামত পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘নেক টিসু, ভিসরা, ব্লাডসহ বেশ কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে সঠিক প্রতিবেদন দেয়া যাবে।’
নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে আমার ভাইয়ের মরদেহ পল্টন বিএনপি অফিসে নেয়া হবে। সেখান থেকে জানাজা শেষে ভোলা নোয়াবাদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’