বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসাশিক্ষককে মারধর: ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২২ ১১:৫৯

শহরের কানাইকালি এলাকা থেকে তাকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে সদর আমলি আদালতে পাঠানো হয়।

নাটোর সদরে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সদর আমলি আদালতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে শহরের কানাইকালি এলাকা থেকে তাকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই ইউনিয়নের গোলাম ইয়াসিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফর বরকতকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই শিক্ষক। আসামিরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরজ্জামান কালু ও তার ছেলে জয়, ফারুক হোসেন, রফিক মহুরী, মজিবর রহমান, রুবেল ও সুফিয়ান।

এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানসহ স্থানীয়রা মাদ্রাসায় গিয়ে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি করে বিলুপ্তির দাবি জানায়। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফর বরকতের সঙ্গে এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ জাফর চেয়ার তুলে চেয়ারম্যানের দিকে তেড়ে যান। তখন চেয়ারম্যান সমর্থকরা শিক্ষক জাফরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে।

ঘটনার পর অভিযোগকারী জাফর বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। পরে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে মারা হয়।’

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এমন সংবাদ শুনে আমি যাই। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাফর চেয়ার তুলে আমাকে মারার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার দাড়ি ধরে টান দেয়।

‘তখন স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষককে মারপিট করে। তাকে রোষানল থেকে রক্ষা করতে ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে নিয়ে যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর