ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্থানীয় সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহতের মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়রের ভাই জাপান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বাসায় বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ৪৫ বছর বয়সী জাপান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে তাকে জেলা র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৮-এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতেই আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ দুপুরের দিকে তাকে আদালতে তোলা হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা টাইমস পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামি পারুল বেগমকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে ওই সাংবাদিক হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন।
জাপান মোল্লা আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের ছোট ভাই। তার বাড়ি উপজেলার কুসুমদি গ্রামে।
এজাহারে বলা হয়, গত সোমবার দুপুরে আলফাডাঙ্গায় রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট কিনতে যান রমিজ নামের এক যুবক। তিনি ঢাকার একটি টিকিটের দাম পরিশোধ করে বাসে ওঠেন।
বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে বলা হয় রমিজ টিকিটের টাকা দেননি। তাই তাকে ঢাকায় যেতে দেয়া হবে না।
বিষয়টি জানিয়ে ঢাকা টাইমস পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমের কাছে সহযোগিতা চান রমিজ।
ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলতেই সাংবাদিক মুজাহিদের ওপর চড়াও হন কাউন্টারের ম্যানেজার পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের ছোট ভাই জাপান মোল্লা ও তার সহযোগীরা।
কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মুজাহিদকে বেধড়ক পেটান। এতে মুজাহিদ গুরুতর আহত হন। এ সময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হন হামলাকারীরা।
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হামলার শিকার সাংবাদিক মুজাহিদ বর্তমানে হাসপাতালের নিচতলার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই মিয়া রাকিবুল।