পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্টের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘নুরে আলমসহ দেশে যতগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তার প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। আমরা পুলিশকে বলছি, পুলিশ তুমি গদি ছাড়ো, মুজিব কোট গায়ে পরো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না। কিন্তু ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে ওনার কথা ও কাজে মিল নেই। আওয়ামী লীগ মুখে এক কথা বলে আর অন্তরে অন্য কিছু ধারণ করে।’
আমান বলেন, ‘অবিলম্বে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম এবং ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ ছাত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে এর জবাব দেবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি ছাত্র পরিষদেরনুরে আলমের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকার ১৩ বছর ধরে বিরোধী দলগুলোর যেকোনো জনবান্ধব ও যৌক্তিক মিছিল-সমাবেশে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে ঘটনাস্থলে আবদুর রহিমকে হত্যা করে এবং গুরুতর আহত নুরে আলম হাসপাতালে আজ মারা গেছেন। এটি একটি পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং দায়িত্ব অবহেলার দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।’