বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পথ হারিয়ে ত্রিপুরার কিশোরী নারায়ণগঞ্জে

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ২৩:৪৬

কিশোরী শাহিনা আক্তারের বাবা মৃত আব্দুল হাসেম ও মা তাহেরা বেগম। তাদের বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিপাহি জেলার সুনামুরা থানার দমদম গ্রামে। সেখানে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে পথ হারিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে আসে ১৩ বছর বয়সী শাহিনা আক্তার। স্থানীয়রা তাকে ঘোরাফিরা করতে দেখে কথা বলে পরে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পুলিশ ওই কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে সেফ হোমে পাঠায়।

অবশ্য কিশোরীটির খোঁজ পেয়েছেন তার স্বজনরা। তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে আদালতে আবেদন করেছেন তারা।

কিশোরীকে ফিরে পাওয়ার আবেদনের শুনানি হয় বুধবার। এদিন বিচারিক হাকিম মোনালিসা সোনিয়ার ৭ দিনের মধ্যে তাদের পরিচয় ও সম্পর্ক নিশ্চিতসহ প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২৩ জুন সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকায় স্থানীয় লোকজন কিশোরীটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তার পরিচয় জানতে চায়। তখন সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। কিশোরীকে হেফাজতে নিলে সে জানায়, তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরায়। পথ হারিয়ে এখানে এসেছে।

এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পুলিশ। পরে শিশুটিকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য আদালত গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশুকেন্দ্রে পাঠায়।

বুধবার বিকেলে শিশুটির মামা ভারতীয় নাগরিক এক আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে। তবে আদালত তাদের পরিচয় ও সম্পর্ক নিশ্চিতসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় পুলিশকে।

আইনজীবী মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া নিউজবাংলাকে জানান, কিশোরী শাহিনা আক্তারের বাবা মৃত আব্দুল হাসেম ও মা তাহেরা বেগম। তাদের বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিপাহি জেলার সুনামুরা থানার দমদম গ্রামে। সেখানে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার মামা মজিবুল হক তাকে দেখার পর শনাক্ত করেছেন। গ্রামটি সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখান থেকে হারিয়ে গিয়েছিল শাহিনা।

আইনজীবী বলেন, 'আজ আদালতের শুনানিতে শাহিনা আক্তার বলেছে, ঘটনার দিন সে খেলছিল। এরপর সে কীভাবে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়েছে, তা জানে না। পরে পথ হারিয়ে একটি গাড়িতে ওঠে। এরপর সোনারগাঁয়ে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। শাহিনা আক্তার তার মামাকে চিনতে পেরেছে। তার মামা আদালতে জানিয়েছেন, ওই দিন থেকে শাহিনা নিখোঁজ। এরপর তারা সেখানকার পুলিশকেও জানিয়েছে। তবে আদালত পুলিশ তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।'

শিশুটির মামা মজিবুল হক বলেন, 'আমি কৃষক। শাহিনার বাবা নাই। ও নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা ওরে অনেক খোঁজাখুঁজি করছি, কিন্তু পাই নাই। দেড় মাস আগে সেফ হোম থেকে আমাগো নম্বরে ফোন আসে। তখন সেখান থেকে জানানো হয়, শাহিনা এখানে আছে। ও আমাদের নম্বর তাদের কাছে দিয়েছে। এরপর আমরা তার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই। পরে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে আসি। এখানে আসার পর একজন পরিচিত লোক পাই তার বাসায় বর্তমানে থাকছি। আমি আমার ভাগনিকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে আদালতে আবেদন করেছি।'

এ বিভাগের আরো খবর