চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো পানির দাম বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ১৮ পয়সা দাম বৃদ্ধি করছে সেবা সংস্থাটি। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল।
জানুয়ারিতে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ৬২ পয়সা ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫২ পয়সা দাম বৃদ্ধি করে ওয়াসা। দাম বৃদ্ধির পর ইউনিটপ্রতি পানির মূল্য হয় আবাসিকে ১৩ টাকা ও বাণিজ্যিকে ৩১ টাকা ৮২ পয়সা। নতুন করে দর বৃদ্ধির কারণে প্রতি ইউনিটের জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৮ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ৩৭ টাকা গুনতে হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আইন অনুযায়ী বোর্ডের অনুমতিসাপেক্ষে বার্ষিক ৫ শতাংশ পানির দাম বৃদ্ধি করতে পারে ওয়াসা। তবে ৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করতে চাইলে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
সরকারি ভর্তুকি বন্ধ, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধের তাড়া দেখিয়ে সম্প্রতি আবাসিকে ১৬ শতাংশ ও বাণিজ্যিকে প্রায় ৩৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধির অনুমোদন চাওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম বাড়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এ বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে এখন পানির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ভর্তুকি বন্ধেরও একটা বিষয় আছে। তা ছাড়া ঋণের টাকা পরিশোধেরও একটা তাড়া আছে। সব মিলিয়ে পানির মূল্য বাড়াতে হচ্ছে। তবে খরচ কমানোর বিষয়টিও আমাদের আলোচনায় আছে।’
ওয়াসা সূত্র জানায়, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ আছে ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ সংখ্যা ৭ হাজার ৭৬৭টি। ওয়াসার হিসাবে, ২০০৯ সালে আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির দাম ছিল ৫ টাকা ৪১ পয়সা, বাণিজ্যিকে ১৫ টাকা ৩২ পয়সা। পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০১৪ সালে আবাসিকে পানির দাম হয় ৬ টাকা ৯০ পয়সা, বাণিজ্যিকে ১৯ টাকা ৫৯ পয়সা। আর ২০২০ সালে এসে আবাসিকে পানির দাম দাঁড়ায় ১২ টাকা ৪০ পয়সা আর বাণিজ্যিকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা।