বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবিতে বহিষ্কার হয়েও পরীক্ষায় বসলেন ২ শিক্ষার্থী

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ১৮:০৯

নিয়ম অনুযায়ী, বহিষ্কারের মেয়াদকালে ক্লাস ও পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে ৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পরে অভিযুক্ত চারজনকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল তাদের ১ বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দেয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জান্নাতুল ইসলাম রুবেল, দর্শন বিভগের ইমন আহম্মেদ ও রাকিব হাসান রাজু এবং আরবি বিভাগের জুনায়েদ আহমেদ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।

এদের মধ্যে দর্শন বিভগের মো. ইমন আহম্মেদ ও রাকিব হাসান রাজু বুধবার তাদের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দাবি করেছে, বহিষ্কারের চিঠি এখনও তাদের হাতে না পৌঁছানোর কারণে পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চিঠি ইস্যু প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পেরেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, বহিষ্কারের মেয়াদকালে ক্লাস ও পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞাসহ বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না।

দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শন বিভাগের সভাপতি মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বহিষ্কার হয়েছে শুনেছি। কিন্তু আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি। তাই তারা পরীক্ষায় বসতে পেরেছে। ওই ছাত্রদের অ্যাডমিট কার্ড আছে। সেটি বাতিল করলেই আমরা বলতে পারতাম কেন পরীক্ষা দিচ্ছে। এখন আমরা কোন এখতিয়ারে বলব। দেখি, তারা হয়তো লিখিত নির্দেশ পাঠাবে।’

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘উনারা (বহিষ্কৃতরা) পরীক্ষায় বসেছেন, আমরা শুনেছি। এই পরীক্ষা আবার ক্যানসেল হয়ে যাবে।’

বহিষ্কারের চিঠি কেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে যায়নি- সে বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা রেজ্যুলেশন আকারে এখনও আসেনি। এটা না আসলে চিঠি দেয়া যায় না। এটা অফিশিয়াল প্রসিডিউর। প্রসিডিউরটা মেনে চিঠি যাবে। এখন আমরা টেলিফোন করে বলে দিয়েছি। এখন পরীক্ষা দিলেও সেটি ক্যানসেল হয়ে যাবে।’

চিঠি কবে যাবে এই জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘প্রসিডিউর শেষ করেই চিঠি যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর