মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোর ও ময়মনসিংহে দুই মামলায় ২২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান সানাউল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার ৮৪ ও ৮৫তম প্রতিবেদনে ২২ জন আসামির বিরুদ্ধে এ তদন্ত সম্পন্ন করা হয় বলে জানানো হয়।
দুটি প্রতিবেদনের একটিতে ১৫ জন আসামি, আরেকটি ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিগগিরই প্রতিবেদন দুটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার প্রধান।
সংবাদ সম্মেলন তদন্ত সংস্থার প্রধান সানাউল হক বলেন, ‘যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানা ও কোতোয়ালি থানার ১৫ জনের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, ধর্ষণ ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ মামলায় জব্দ তালিকার ২ জন সাক্ষীসহ ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।’
১৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ৩ খণ্ডে সমাপ্ত করা হয়েছে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন- ৭১ বছর বয়সী মো. ডা. লুৎফর রহমান, ৭০ বছরের মো. খয়বার রহমান, ৬৮ বছর বয়সী মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুর ইসলাম, ৬৮ বছরের মো. আবুল হোসেন বিশ্বাস, ৬৯ বছর বয়সী মো. আবু বকর ওরফে আবু বক্কার মোল্লা এবং ৭২ বছরের মো. হোসেন আলী মোল্যা।
অন্য নয় আসামি পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
আর ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও কোতোয়ালি থানা এবং নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া শহীদুল্লাহ ফকিরসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ মামলায় শহীদুল্লাহসহ গ্রেপ্তার বাকি দুই আসামি হলেন- ৮০ বছর বয়সী হাবিবুর রহমান ওরফে মেনু মিয়া এবং ৭০ বছরের মো. আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মুন্সি।
এ মামলায় বাকি চার আসামি পলাতক, তাই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সানাউল হক ছাড়াও তদন্ত সংস্থার অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।