বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রক্সি নিয়ে রাবিতে প্রথম

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ১৬:৪৩

প্রথম হওয়া তানভীরের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছিলেন রাবির ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন তিনি। প্রক্সির দায়ে তানভীরের খাতাটি বাতিল হওয়ার কথা থাকলেও সেটি না হয়ে উল্টো প্রথম হন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ সেশনে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তানভীর আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। ফলাফলে দেখা যায়, তিনি পেয়ছেন ৯২ দশমিক ৭৫ নম্বর।

অথচ তার হয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান। যদিও প্রক্সির দায়ে ওই শিক্ষার্থীর খাতাটি বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি না হয়ে তানভীর উল্টো প্রথম হওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে বুধবার দুপুরে তানভীরের ফল বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থী বায়জিদ খান ওইদিন ধরা পড়েছিলেন পরীক্ষা চলাকালীন। একই দিন রাবিতে প্রক্সিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সময় আটক আটক হয়েছিলেন ঢাকা থেকে যাওয়া আরও দুই শিক্ষার্থী। পরে তাদের তিনজনকেই এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রাজশাহী কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তানভীরের ফলাফল ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এই ঘটনায় কার গাফিলতি রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা ক্ষতিয়ে দেখছে। তদন্তে যিনি দোষী হবেন, অবশ্যই তাকে বিচারের আওতায় আসতে হবে।’

প্রক্সির দায়ে তানভীরের খাতাটি বাতিল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি হয়নি।

কেন হয়নি? এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘এ ইউনিটে যে ছেলে প্রক্সি দিতে এসেছিল, ওই ছেলে তখনই গ্রেপ্তার হয়। যেকোনো ভাবেই ওই ওএমআর শিটটি আর বাতিল হয়নি। যে কারণে তার ফলটি এসেছে। পরবর্তীতে আমাদের প্রেস রিলিজ ও ফেসবুকের তথ্য এবং সাংবাদিকদের তথ্য মিলিয়ে সেটি বাতিল করা হয়েছে।’

এতে ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বচ্ছতা যদি না থাকত, তাহলে কী এটি ধরা পড়ত? আমরা পরীক্ষার্থীদের তথ্যও সাংবাদিকদের দিতাম? আমাদের স্বচ্ছতা আছে বলেই তো আমরা প্রতিটি বিষয় মিডিয়াকে জানাই। এটা হতে পারে ভুল, অসচেতনতা।’

রাবির এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কো-অডিনেটর ইলিয়াস হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিনের পরীক্ষার হল থেকে যে ওএমআর ও টপশিট এসছিল সেখানো কোনো মন্তব্য ছিল না। এ কারণেই এটির ফল তৈরি হয়েছে।

‘ওইদিন হলে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫০ জন। হলের দায়িত্বে ছিলেন ৩ জন শিক্ষক। কিন্তু তাদের কেউই এটিকে বাতিল বলে জানাননি। এমনকি প্রক্টর অফিস থেকে কোনো তথ্য আমাকে দেয়া হয়নি। তাই আমি এই রেজাল্ট শিট করেছি। এখন এটি মিটিং করে বাতিল করা হয়েছে।’

কো-অডিনেটর জানান, পরীক্ষার হল থেকে বায়জিদ খানকে ২৫ মিনিটের মাথায় বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ মিনিটেই তিনি সব প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রশাসন ও হলের গাফিলতির কারণেই এটি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি আমাদের তথ্য দিত, তবে এটি আমরা করতাম না। আর হলে দায়িত্বরত শিক্ষকও যদি এটিকে বহিষ্কার বা প্রক্সি উলেখ করতেন এমনটি হতো না।

‘আমার জায়গায় যে কেউ থাকলে সেও এই কাজ করত। যেহেতু ওএমআর শিট ফ্রেশ ছিল, তাই এটির রেজাল্ট তৈরি করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর