ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম মারা গেছেন।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, নুরে আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (বুধবার) বেলা ৩ টার দিকে মারা গেছেন।
জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার দেশজুড়ে যে লোডশেডিং করছে, তার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রোববার ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্তণে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
এ সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়। অন্তত ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর ছিলেন নুরে আলম।
আহত নুরে আলমকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা (শেবাচিম) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেয়া হয় ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে।
অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতে তাকে গ্রিন রোড কমফোর্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ৩ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ জেলাকে পুলিশ আজ লাশের শহরে পরিণত করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ৩ দিন পর আমরা অরেকজন সহযোদ্ধাকে হারালাম। জেলা ছাত্রদলের সভাপতির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এই মৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন কোনো উশৃঙ্খলতা করেনি তার জন্য পুলিশকে গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে। পুলিশ এখন অতি উৎসাহী হয়ে বিএনপি নেতাদের ধরে গুলি করে মারছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’