বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাস্তায় উচ্চস্বরে গান শোনায় বাধা, ছুরিকাঘাতে মৃত্যু

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ১৫:৩৯

নড়িয়া থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘ঘটনার পর নড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোবাইলে উচ্চস্বরে গান শোনা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে দশম শ্রেণির ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েক যুবকের বিরুদ্ধে।

এ সময় হামলায় আরও তিন ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তাদের মধ্যে ২০ বছরের মুন্না ও ১৮ বছরের সোহান মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত আসিফ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

নড়িয়ার কানারগাঁও গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ১৮ বছরের সিজান আকন নড়িয়া পৌরসভার মাদবরকান্দি গ্রামের বিল্লাল আকনের ছেলে। তিনি বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়তেন।

ছেলে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় মামলা করেছেন বাবা বিল্লাল আকন।

মামলায় স্থানীয় লাবিব ছৈয়াল, ইব্রাহিম ব্যাপারী জয়, রাহিম হওলাদার, নাইম ছৈয়াল ও জুবায়ের ছৈয়ালকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। আসামিদের মধ্যে ইব্রাহিম ব্যাপারী ও রাহিম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিউজবাংলাকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মিজানুর রহমান।এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নড়িয়ার মধ্য লোনসিন এলাকায় রাস্তার পাশে মোবাইলের গানের সঙ্গে উচ্চস্বরে গান করছিল লাবিব ও ইব্রাহিম। রাস্তার মধ্যে এভাবে উচ্চস্বরে গান গেয়ে মানুষকে বিরক্ত করার কারণ জানতে চাইলে সিজান ও তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় লাবিব ও ইব্রাহিমের।

পরবর্তী সময়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে মধ্য লোনসিন এলাকায় সিজান ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করে লাবিব ও তার সহযোগীরা। এ সময় তারা ছুরিকাঘাত করে সিজান, মুন্না, সোহান ও আসিফকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সিজানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিজানের পরিবারের দাবি, আগে থেকেই সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে লাবিব ও তার বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল সিজান ও তার বন্ধুদের।

বিল্লাল আকন বলেন, ‘বখাটে লাবিব ও তার বন্ধুরা এলাকায় নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় সিজান ও তার বন্ধুদের সঙ্গে ওদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে ওরা আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলছে।

‘সামান্য বিষয় নিয়ে এ বয়সী ছেলেরা যদি মানুষ মেরে ফেলতে পারে তাহলে সামনে তারা আরও কত কী করতে পারে। আমার ছেলের হত্যাকারী ওই চক্রের সদস্যদের ফাঁসি চাই।’ হামলার শিকার মুন্না ছৈয়ালের মা শিরিন আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সিজানকে ছুরি দিয়ে কোপাতে দেখে মুন্না। এ সময় সিজানকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলাকারী লাবিব, ইব্রাহিম ও তার সঙ্গে থাকা সবাই মুন্নাকেও ছুরিকাঘাত করে।

‘মুন্নার পিঠে ও পেটে ছুরির আঘাত লেগেছে। ওর অবস্থা ভালো না। এই হামলাকারীদের বিচার চাই।’নড়িয়া থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘ঘটনার পর নড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর