সম্প্রতি ঘোষিত ভোলা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের একাংশ।
ভোলা প্রেস ক্লাব চত্বরে বুধবার সকালে মানববন্ধন হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
গত ২৪ জুলাই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটিতে মো. আবু সায়েমকে সভাপতি ও আকতার হোসেনকে করা হয় সাধারণ সম্পাদক।
বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গঠনতন্ত্র না মেনে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।
সংগঠনটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘গঠনতন্ত্র পরিপন্থি এই কমিটিতে অযোগ্য, অর্বাচীন ও হাইব্রিডদের স্থান দিয়ে দলের দুঃসময়ে নিপীড়িত-নিগৃহীতদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ইলিশ মাছ, দই ও মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। আমরা এ কমিটি বাতিল ঘোষণা করে নতুন কমিটি দাবি করছি।’
সাবেক সদস্য জাকির হোসেন মিয়াজি বলেন, ‘হাইব্রিড ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা দলের নির্যাতিত, ত্যাগী নেতাকর্মীরা এই কমিটি মানি না।
কমিটি বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কমিটিতে যাদের স্থান দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই-তিনজন ছাড়া বাকিরা হাইব্রিড ও অরাজনৈতিক লোক। তারা বছরের পুরোটা সময় তাদের ব্যবসায়িক কাজে দেশের ও ভোলার বাইরে থাকে।
‘আমাদের দাবি, দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।’
তাদের এ প্রতিবাদ কর্মসূচিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির সভাপতি মো. আবু ছায়েম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পদবঞ্চিতরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেন্দ্রের বাইরে আমরা কেউ যেতে পারি না। কেন্দ্র থেকে যেভাবে কমিটি দিয়েছে, আমাদের যত কষ্টই হোক তা মানতে হবে।
‘তবে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয় করে দিলে বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন তারাও পদে আসতে পারতেন। তাহলে ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আরও শক্তিশালী হতে পারত।’
তার পরও বাদ পড়াদের পূণাঙ্গ কমিটি করার সময় বিবেচনায় রাখার আশ্বাস দেন তিনি।