সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে যশোরের মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ‘পকেট কমিটি’।
খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের ধানমন্ডির অফিসে মঙ্গলবার বিকেলে জরুরি সভায় ওই কমিটিগুলো বাতিল করা হয়েছে।
সভা শেষে রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুজিবুদ্দৌলা সরদার কনকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের যশোর জেলার কয়েকটি উপজেলা শাখার পুর্ণাঙ্গ কমিটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র যথাযথ অনুসরণ না করে ওই কমিটি ঘোষণা করায় তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এ বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে খুলনা ভিাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বৈঠক আহ্বান করেন। সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা নেতাদের উপস্থিতিতে সেই বৈঠকে কমিটিগুলো বাতিল করা হয়।
এ নিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী এসব ইউনিটের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
৩১ জুলাই শনিবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এককভাবে সই করে তিনটি উপজেলা কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সই নেয়া হয়নি।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। নির্বাহী কমিটির সভা এবং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া কমিটি অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ ওঠে, দলীয় গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সুযোগ সন্ধানী একটি পক্ষকে পুর্নবাসনের মধ্য দিয়ে ‘পকেট কমিটি’ করেন জেলা সভাপতি। এ নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে আসে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার জেলা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নেতাদের ঢাকায় জরুরি তলব করা হয়। বিকেলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের ধানমন্ডির অফিসে ডাকা সভায় তোপে পড়েন যশোর জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। এক পর্যায়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনা শেষে সন্তোষজনকভাবে সভা শেষ হয়েছে। শোকের মাস আগস্টের পর গঠনতন্ত্র মেনে যোগ্য নেতাদের নিয়ে জেলার সব ইউনিটের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।’