বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি ভোটে চলে যায় কি না, সন্দেহ গয়েশ্বরের

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২২ ২১:১৭

‘আমরা বারবার বলছি এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। এইটা নতুন কথা না। ২০১৮ সালের আগেও আমরা বলেছি। নির্বাচনে যাওয়ার আগ মুহূর্তেও বলেছি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা নির্বাচনে চলে গিয়েছি। সে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে, সাধারণ কর্মীদের মধ্যে আমাদের যে হুঙ্কার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, সেইটাতে কিছুটা সন্দেহ আছে। কিছু আশঙ্কা আছে।’

বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছে, শেষ পর্যন্ত দলটি তাতে অটল থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে খোদ স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, অতীতে এ কথা বলেও দলটি ভোটে গেছে।

তিনি উদাহরণ টেনেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। ওই ভোটের আগেও বিএনপির একই ঘোষণা ছিল। কিন্তু পরে দলীয় সরকারের অধীনেই ভোটে যায় তারা।

বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। এইটা নতুন কথা না। ২০১৮ সালের আগেও আমরা বলেছি। নির্বাচনে যাওয়ার আগ মুহূর্তেও বলেছি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা নির্বাচনে চলে গিয়েছি।

‘সে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে, সাধারণ কর্মীদের মধ্যে আমাদের যে হুঙ্কার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, সেইটাতে কিছুটা সন্দেহ আছে। কিছু আশঙ্কা আছে।’

উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণার পর ২০১১ সালে এই সরকারের বদলে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে সেটি প্রতিহতের আন্দোলন করে বিএনপি। সেই আন্দোলনে ব্যর্থতার পর ২০১৫ সালে সরকার পতনের আন্দোলনেও ব্যর্থ হয় দলটি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে নয়াপল্টনে বিক্ষোভে বিএনপি। ফাইল ছবি

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেও পরে ২০ দলীয় জোটের পাশাপাশি নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে ভোটে যায় বিএনপি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপেও যোগ দেয় তারা।

ভোটে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফল করার পর বিএনপি অভিযোগ তোলে, সেবার আগের রাতেই ভোট হয়ে যায়। ফলে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।বিএনপি আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গিয়ে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের ছক সাজাচ্ছে। যদিও আসলে তারা কী করতে যাচ্ছে, সেটি স্পষ্ট নয়।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা যদি কমিটমেন্টের জায়গায় দৃঢ় থাকি তাহলে আমার মনে হয় আন্দোলন, হরতাল অবরোধ কিছুই হতো না। শেখ হাসিনার থাকার কোনো সুযোগ নাই। কারণ, সময় সবকিছু দিয়ে ধোঁকা দেয়া যায় না। ধোঁকা দেয়ার যতগুলো উপকরণ আছে, সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তাকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই ২০১৮-এর মতো আরেকটা অপকর্ম করবে, সেই সুযোগটা তার নাই।’

তিনি বলেন, ‘একটা জিনিসের দাম বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই কমছে, আর সেইটা হলো আওয়ামী লীগের দাম। শেয়ার মার্কেটে আওয়ামী লীগের দরপতন ঘটেছে। ১০০ টাকার শেয়ার এখন ৫ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শেয়ার বাজারে বিএনপির দরপতন ঘটে নাই।'

নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সদ্ভাব ও সমঝোতা করে সবাইকে ভোটে আসার যে আহ্বান জানিয়েছে, তা নিয়েও কথা বলেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আমি নির্বাচনে যাব না। আমি কেন তার কথা শুনব? আর সে (সিইসি) কে রাজনৈতিক মীমাংসা করার? রাজনীতির মীমাংসা রাজনীতিবিদরা করবে। রাজনৈতিক দলগুলো ফয়সালা করবে মাঠে না আলোচনায় তা করবে।’

বিএনপি ভোটে না গেলে ইভিএম নিয়ে কথা বলার দরকার নেই বলেও মনে করেন গয়েশ্বর। বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমি কথা বলব কেন? আমি নির্বাচন করব না, ইভিএম দিয়ে কী করব? আমি যখন নির্বাচন করব সেই পরিবেশ আসবে তখন আমি ইভিএম নিয়ে কথা বলব।’

এ বিভাগের আরো খবর