বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুগপৎ আন্দোলন হবেই, নিশ্চিত ফখরুল

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২২ ২০:১৬

ফখরুলের কাছে প্রশ্ন ছিল, ঘোষণা থাকলেও অন্য দলগুলো বিএনপির কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হচ্ছে না কেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘কে বলছে হচ্ছে না? আপনি কথা বলছেন, কিন্তু আপনি খবর রাখেন না। প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা দেখেছেন সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে তারা বলেছে তারা যুগপৎ আন্দোলনে যাবেন।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা করছেন, যাদের সঙ্গে তারা আলোচনা করছেন, তাদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবেন।

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া চারটি দল আরও তিনটি দলকে নিয়ে তৃতীয় শক্তি হওয়ার মানসে নতুন মোর্চা গঠনের ঘোষণার দিন মঙ্গলবার এ কথা বলেন ফখরুল।

বিকেলে মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বিএনপি নেতা।

গত ২৪ মে থেকে বিভিন্ন দলের সঙ্গে ধারাবাহিক এই বৈঠক শুরু করে বিএনপি। সংলাপ শেষে প্রতিদিনই দুই পক্ষ থেকেই বলা হয়, সরকার পতনে ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে একমত হয়েছে দুই পক্ষ।

তবে এই ঘোষণা দেয়া জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আরও তিনটি দলকে গিয়ে নতুন মোর্চা গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৮ আগস্ট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে এই জোট আত্মপ্রকাশ করবে বলে দুপুরের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময়ে জানানো হয়।

সেই আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-দুই দলকেই জনগণ চায় না। এ জন্য তারা তৃতীয় শক্তি হতে চান।

এই মোর্চার আরেক দল গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘নির্যাতিত দল’ হিসেবে তারা বিএনপিকে সঙ্গে রাখবেন। তবে তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া যাবে না।

ফখরুলের কাছে প্রশ্ন ছিল, ঘোষণা থাকলেও অন্য দলগুলো বিএনপির কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হচ্ছে না কেন।

জবাবে তিনি বলেন, ‘কে বলছে হচ্ছে না? আপনি কথা বলছেন, কিন্তু আপনি খবর রাখেন না। প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা দেখেছেন সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে তারা বলেছে যুগপৎ আন্দোলনে যাবে।’

অবশ্য ফখরুল শুরুতে কোনো প্রশ্নের জবাব দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। নিজের বক্তব্য দেয়ার পর ‘নো কোশ্চেন’ বলে চেয়ার থেকে উঠে যান। কিন্তু পরে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তিনি কথা বলতে শুরু করেন।

বিএনপি যে এক দফার আন্দোলনের কথা বলছে, সেটিই বা কবে শুরু হবে- এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘এক দফার দাবিতে মাঠে নেমেই আছি তো।

‘একটি ভুল কথা বললেন, আজকেও আপনি দেখেছেন আমরা বিশাল জনসভা করেছি। আমাদের আন্দোলনের ভিত্তিতে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে সরকারের বাহিনী।’ এর আগে ফখরুল কথা বলেন তাদের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেটি নিয়ে।

বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া ওই বৈঠকে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। বিএনপির পক্ষে ফখরুল ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, সাবেক সংসদ সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন।

ফখরুল বলেন, ‘গণফোরামের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্বাস জন্মেছে যে সকল রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সঙ্গে একমত হবে এই সরকারকে সরাতে। এ ব্যাপারে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে একটি নির্দলীয় সরকারের অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। এ ছাড়া খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি দাবি করছি।‘আমরা এই সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই, সংসদ বিলুপ্ত করা চাই, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেই সঙ্গে নতুন যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে, সেখানে সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।’

বিএনপির আন্দোলনে যারা অংশ নেবে, নির্বাচন শেষে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলেও জানান বিএনপি নেতা। বলেন, ‘দেশে যে অব্যবস্থাগুলো রয়েছে, যে প্রতিষ্ঠাগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার তৈরি করার জন্য আমরা জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই।’

গণফোরাম নেতা মন্টু বলেন, ‘অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা ঐক্যের বিষয়ে একমত হয়েছি।‘আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি, আগামীতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।’গণফোরাম নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচন জাতির কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা তিনি করবেন। কিন্তু সে কথা উনি রাখতে পারেননি। ফলে আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আর সুষ্ঠু হবে না।‘ফলে অতীতের অভিজ্ঞার আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এ বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’ সরকারবিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে গত ২৪ মে থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। এ নিয়ে মোট ১৮টি দলের সঙ্গে সংলাপ করল বিএনপি। তবে গত নির্বাচনে যার নেতৃত্বে বিএনপি ভোটে গিয়েছিল, সেই ড. কামাল হোসেনকে এড়িয়ে চলছে দলটি।

এ বিভাগের আরো খবর