বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্লাসরুমে বাঁশে বাঁধা ফ্যান ছিঁড়ে চোখ গেল শিক্ষকের

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩১

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্কুলের অপর শিক্ষিকা মিলনী রানী রায় বলেন, ‘সোমবার দুপুরে দুজনে একসঙ্গে লাঞ্চ করার পর শিরিনা আখতার চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নিতে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে তার চিৎকার শুনে আমরা অনেকেই ওই ক্লাসরুমে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, তার ডান চোখে রক্তারক্তি অবস্থা।’

ক্লাস চলার সময় বাঁশে বাঁধা ফ্যানের দড়ি ছিঁড়ে ব্লেডের আঘাতে ডান চোখ হারালেন এক সহকারী শিক্ষিকা।

ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৪০ বছর বয়সী আহত শিক্ষিকার নাম শিরিনা আখতার। তিনি কুড়িগ্রাম পৌরসভার নাজিরা চৌধুরী পাড়া দক্ষিণ গ্রামের শেখ আলমগীর কবীর বাবুলের স্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষিকার ডান চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কর্ণিয়ার ওপর আঘাত লাগায় তার ডান চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এই চোখ দিয়ে দেখার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্কুলের অপর শিক্ষিকা মিলনী রানী রায় বলেন, ‘সোমবার দুপুরে দুজনে একসঙ্গে লাঞ্চ করার পর শিরিনা আখতার চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নিতে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে তার চিৎকার শুনে আমরা অনেকেই ওই ক্লাসরুমে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, তার ডান চোখে রক্তারক্তি অবস্থা।’

মিলনী রানী জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ওই ফ্যানটি একটি বাঁশের সঙ্গে বাঁধা ছিল। বাঁধন আলগা হয়ে বাঁশটি হেলে পরলে ফ্যানের একটি ব্লেড সরাসরি শিরিনা আখতারের ডান চোখে আঘাত করে।

এ অবস্থায় আহত শিক্ষিকাকে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, ভয়ে আর স্কুলেই আসেনি শিক্ষার্থীরা।

শিরিনা আখতারের স্বামী ও উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সচিব শেখ আলমগীর কবীর বাবলু জানান, রংপুর মেডিক্যালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. মুফাকখারুল ইসলাম মুকুলের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল শিরিনার চোখে অপারেশন করে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত চোখের কর্ণিয়া ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় সেই চোখ দিয়ে দেখার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে।

বাবলু অভিযোগ করেন, শিক্ষা বিভাগ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে মেরামত কাজ না হওয়ায় তার স্ত্রীর একটি চোখ হারাতে হলো।

গোড়াই দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের স্কুলঘরটি অপেক্ষাকৃত নিচু। অকস্মাৎ এ দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত।’

উলিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির উজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের কাছেই খবরটি প্রথম জানলাম। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ বিভাগের আরো খবর