বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হারিকেন ধরার টাইমও পাবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২২ ১৫:০৮

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবে। হারিকেন ধরার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার টাইমও পাবেন না। পেছনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ রাস্তায় নামলে আপনারা হাতে হারিকেন ধরার টাইমও পাবেন না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মাতব্বর নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর-দক্ষিণ) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপি নেতারা হাতে হারিকেন নিয়ে বিক্ষোভ করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলটির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়ার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা হাতে হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাদের হাতে হারিকেনই ধরায় দিতে হবে। তাদের সবার হাতে হারিকেন ধরাই দেন আর দেশের মানুষকে আমরা নিরাপত্তা দেব, দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা নেব, সে কাজটা করব।’‌

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই মন্তব্যকে সামনে এনে তাকে উদ্দেশ্য করে মঙ্গলবার প্রতিবাদ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবে। হারিকেন ধরার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার টাইমও পাবেন না। পেছনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না। শ্রীলঙ্কার মাহেন্দ্র রাজাপাকসে পালাতে গিয়েও পালাতে পারছে না। ডিকটেটররা পালাতে চায় জনগণ তাদের পালাতে দেয় না।’

বিএনপির এই বিক্ষোভ সমাবেশে নেতাকর্মীরা হরতাল, হরতাল বলে চিৎকার করছিলেন। তাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হরতাল দিও, আগে রাস্তা দখল কর। আমরা ঘোষণা করছি, আগামী পরশু থেকে প্রতিটি অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ করবে। আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচির চেষ্টা করব। রাস্তায় না নামলে কিছুই হবে না। এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী নিহত হয়েছে। তার রক্ত ঝরেছে। জনগণের দাবি নিয়ে তারা সেখানে সভা করছিল, সমাবেশ করছিল; সেখানে তাদের অতর্কিত পুলিশ আক্রমণ করে গুলি করে পয়েন্ট ব্লাংক রেঞ্জ থেকে। আমার ভাই, আমার সহকর্মী আবদুর রহমানকে হত্যা করে। আমাদের নেতাকর্মীরা আদালতে হাজিরা দিতে দিতে, পুলিশের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে থাকতে হয়রান হয়ে গেছে। এই হচ্ছে আজকে দেশের অবস্থা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে শুধু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একের পর এক গুলি-হত্যা, নির্যাতন করে চলছে। তখন আমরা বাংলাদেশের মানুষ কি নিরব হয়ে বসে থাকতে পারি। পারি না। অতীতে যেমন মানুষ গর্জে উঠেছিল, আবদুল রহিমের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে আমাদের গর্জে উঠতে হবে৷ আমাদের দখল করে নিতে হবে রাস্তাঘাট। তাদের তক্ত তাউস থেকে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটা শ্মশানে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। বলেন, ‘পুরোপুরি একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে এবং একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। কোথায় সফলতা আপনাদের। এই মেট্রোরেল দেখিয়ে বলেন, পদ্মা সেতু দেখিয়ে বলেন, এইখানে এদের সব সফল্য। আর শতকরা ৪২ জন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকে। হাজারো মানুষ এখন দুই বেলা খেতে পারে না।’

দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে এই সরকার ধ্বংস করেছে দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করে ফেলেছে। সুতরাং আমাদের আর কোনো সময় দেয়া চলবে না। এখন আমাদের দাবি একটাই, আসুন সেই এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে আসি।’

এ বিভাগের আরো খবর