১৯৯৪ সালে আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়াদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক, মানসিক সক্ষমতা আছে, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল প্রশ্নে বিচারাধীন আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সালাহ উদ্দিন দোলন ও অনীক আর হক।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কামাল উল আলম ও কামরুল হক সিদ্দিকী।
রায়ের পরে আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ‘পর্যবেক্ষণসহ আপিল ও লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ধারণা করছি পর্যবেক্ষণ আনসার সদস্যদের জন্য ইতিবাচক হবে, তবে পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আইনজীবী অনীক আর হক জানান, রিটকারী আনসার সদস্যদের আপিল বিভাগ কী সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানা যাবে।
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এটি পরে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এ ঘটনার পরে ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কিছু কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। বাকি ২ হাজার ৪৯৬ আনসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
মামলার পর এসব অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পায়। এ অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন, কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়নি।
এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আলাদাভাবে কয়েকটি রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সাল ও ২০১৮ সালে রিটকারীদের চাকরিতে পুর্নবহালের রায় দেয় হাইকোর্ট।
আদালতের এ রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালক এবং রাষ্ট্রপক্ষ আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিল অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
গত ১৬ জুন ওই আবেদনের শুনানি শেষে ২ আগস্ট রায়ের জন্য দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ।