চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পদবঞ্চিত বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আশ্বাসে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা। আন্দোলনকারীরা শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা বিজয় গ্রুপের পদবঞ্চিত নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের একমাত্র নেতা ও অভিভাবক মহিবুল হাসান চৌধুরী। আমাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলবেন। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কঠোর হওয়ার কথা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সেখানে মন্ত্রী লেখেন, ছাত্র সংগঠনের পদ-পদবির বিষয়ে কোনো দাবি থাকলে সংগঠনের যেকোনো কর্মী, নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। সাংগঠনিক দাবি থাকলে সেটি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা যায়। কিন্তু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট, ভাঙচুর করা, অপহরণ করা, অপরাধ ও হত্যার হুমকি দেয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শিক কর্মীর কাজ হতে পারে না।
যারা এসব করছে তারা নিজেদের স্বার্থেই অরাজকতা করছে, তাদের কাছে সংগঠন বা শিক্ষার মূল্য আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে অপরাধমূলক সহিংসতা যারা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন।
তিন বছর পর গত রোববার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর পরপরই ঘোষিত কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ-অবরোধ করছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দেন বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবি, বিজয় গ্রুপের আরেক নেতা ও কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মো. ইলিয়াসকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হোক।