কয়েক ঘণ্টার ভারি বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ শহরের প্রধান সড়কসহ অলিগলি, বাসাবাড়ি, হাট-বাজারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১০টা থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিসহ দুপুর ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভারি বর্ষণ হয়েছে।
এতে শহরের চরপাড়া, সি.কে. ঘোষ রোড, আমলাপাড়া, নয়াপাড়া, সেহড়া মুন্সিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমে থাকে। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ।
শহরের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আফজালুল হক নামের একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ এলাকার সড়কটি শহরের প্রধান সড়ক হওয়া সত্ত্বেও মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের সামনেও পানি জমেছে। পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ-ব্যবস্থা ভালো করতে না পারায় কিছু স্থানের পানি ধীরে ধীরে ড্রেন থেকে নেমে গেলেও কিছু স্থানে রাত ১০টা পর্যন্ত জমে ছিল।’
আয়েশা সিদ্দিকা নামের আরেকজন বলেন, ‘বৃষ্টি শুরুর সময় রিকশা দিয়ে চরপাড়া থেকে সি.কে. ঘোষ রোডে যাচ্ছিলাম। এ সময়েও প্রচণ্ড যানজট ছিল। বিভাগীয় শহর হওয়া সত্ত্বেও পরিকল্পিত উন্নয়নের অভাবে যানজট ও জলাবদ্ধতা থেকে আমরা রেহাই পাচ্ছি না।’
মো. মৃদুল নামের আরেকজন বলেন, ‘উন্নয়নের নমুনা, বৃষ্টি আসলে যমুনা। এটি পরিকল্পিত শহর হতে পারে না। জয়নুল আবেদিন পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেয়ে রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ-ব্যবস্থার উন্নয়ন করা বেশি প্রয়োজন। আমরা অধিকার রাখি একটা সুন্দর শহরে বসবাস করার।’
এ বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটুর মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন সড়কের পানি ড্রেন দিয়ে সরাসরি ব্রক্ষ্মপুত্র নদে চলে যাচ্ছে। তবে অনেক ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া খালগুলোও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি বের হতে না পারায় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
‘শহরের ভেতর স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। সবার আগে ড্রেন পরিষ্কার করে পানি বের করে দিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে শহরবাসীকেও সচেতন থাকতে হবে।’