ফরিদপুর সদরে গত বছর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির এক নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গোলাম মোস্তফা মিরাজ নামের ওই বিএনপি নেতাকে সোমবার বিকেলে সদরের ১ নম্বর আমলি আদালতে তোলা হলে জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. ফারুক হোসেন।
মামলার অধিকতর শুনানির জন্য তাকে মঙ্গলবার বিকেলে ফের আদালতে তোলারও নির্দেশ দেন তিনি।
শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় গোলাম মোস্তফা মিরাজকে।
কারাবন্দি মিরাজ ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব। তিনি ঠিকাদারি করেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও আহত করার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন গোলাম মোস্তফা। তাকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে তোলা হয়।’
২০২১ সালের ২৭ মার্চ শহরের আলীপুর গোরস্তান এলাকায় কর্মসূচি পালন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ইটের আঘাতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবিরুল হক গোলাম মোস্তফাসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা করে আহত করার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, ‘পুলিশের করা ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১২ জন আদালতে হাজির হয়ে জেল খেটে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা এ মামলায় আদালতে হাজিরা না দেয়ায় তিনিসহ বাকিদের নামে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’
গোলাম মোস্তফার আইনজীবী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ভূইয়া বলেন, ‘সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে গোলাম মোস্তফার জামিনের আবেদন জানানো হয়। ওই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসেন জামিন শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’