তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
চট্টগ্রাম নতুন রেল স্টেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই মাসেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
‘আগস্ট মাস এলেই বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে। এবারও তারা দেশব্যাপী নানামুখী ষড়যন্ত্র-নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশকে উত্তপ্ত করার সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ভোলায় তারা গণ্ডগোল করেছে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে প্রমাণিত হয় যে জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। পাঁচশ বছর পরের প্রজন্মও যাতে ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারে সেজন্য কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উম্মোচন হওয়া প্রয়োজন। ইনশাল্লাহ সেটি হবে।’