পাবনার সাঁথিয়ায় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্রাব্য গালিগালাজের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাঁথিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়কজুড়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ওই মানববন্ধন করে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অভিযুক্ত তপন হায়দার ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদেও রয়েছেন।
মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘মসজিদ, মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরকারি অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সম্প্রতি তা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেঁষে মন্দিরের নামে মার্কেট ও প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে স্থানীয় একটি চক্র। এ সময় আমি ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষক ফেরার পর কাজ শুরুর অনুরোধ করেন।
‘এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষকদের পরিবার নিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে এবং অসাদাচরণ করে। এ সময় তার মারমুখী আচরণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়ে কিভাবে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ওপর বসে ধুমপান করে এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আয়নাল হক বলেন, ‘তপন হায়দার সান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে বিদ্যালয়ের জায়গায় জোর করে প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা চালান। আমরা কাজটি না করার অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মা-বোন তুলে গালিগালাজ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি প্রধান শিক্ষককে যেখানেই পাবেন সেখানেই মারার হুমকি দেন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান গেট ভেঙে ফেলার কথাও বলেন।’
এ সময় শিক্ষকদের অপমান করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার বিচার দাবি করে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে তপন হায়দান সান বলেন, ‘যেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি মন্দিরের নামে লিজ নেয়া। পর্যাপ্ত জায়গা ছেড়ে দিয়েই সেখানে নির্মাণকাজ চলছে।’
আওয়ামী লীগ নেতার পাল্টা অভিযোগ, স্কুলের ভেতরেই অতিরিক্ত জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। আর শিক্ষকরাই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছেন।