বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২০

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ১৯:২৯

স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কর্মী-সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার, কনস্টেবল রাসেলসহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন।

চাঁদপুরের কচুয়ায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট।উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরই সোমবার বেলা ১১টার দিকে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে তারা পাল্টাপাল্টি মিছিল, শোডাউন, ধাওয়া এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। ধাওয়া থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার, কনস্টেবল রাসেলসহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন।

আহতদের মধ্যে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার ও কনস্টেবল রাসেলকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কার্তিক রায় ও ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ও নাজমুল, যুবলীগ নেতা মানিক ও নাসিমকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল, কাউছার, সাগরসহ অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের পর কচুয়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

সংঘর্ষ চলাকালে কচুয়ার বিশ্বরোডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম খলিল বাদলের মালিকানার নিউ সৌদিয়া হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা জানান, যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা মূলত আওয়ামী লীগ নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সেলিম আল মাহমুদের অনুসারী।

ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

এ বিভাগের আরো খবর