রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় নতুন গ্রেপ্তার আরও দুজনকে দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত সোমবার শুনানি শেষে হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ সোহেল শাহরিয়ার ও হত্যায় ব্যবহৃত ‘অস্ত্র সরবরাহকারী’ মারুফ রেজা সাগরকে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানিতে তারা বলেন, এজাহারে তাদের নাম নেই। সন্দেহের বশে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। হয়রানি করতে এ মামলায় রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত।
রোববার রাতে মতিঝিল এলাকা থেকে সোহেল শাহরিয়ার ও মারুফ রেজা সাগরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গত শনিবারও টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদেরও দুই দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।
গত ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনির কাঁচা বাজারসংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাহজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু।
সে সময় তার মাইক্রোবাসের পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
মামলার পর ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এরপর আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তারা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও আরফান উল্লাহ দামাল।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে খুন হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী।
আলোচিত সেই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তৎকালীন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।