রাজধানীতে বিকাশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় চালকের সহকারী কাওসার আহম্মেদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করলে তদন্ত কর্মকর্তা আজিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আছিবুজ্জামান আছিব তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই আদেশ দেন।
গত ২৯ জুলাই এ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক। এর আগে বাসের চালক মাহবুবুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
মামলায় বলা হয়, গত ২৪ জুলাই রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর যেতে বাসে ওঠেন এক ছাত্রী। আসনে বসে তিনি কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলেন। একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত সোয়া ৯টার দিকে ছাত্রী বুঝতে পারেন তার শরীরে কেউ হাত দিয়েছেন। তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই, তার পাশের আসনে বসে চালকের সহকারী।
বিপদ আঁচ করতে পেরে সেই ছাত্রী সেই সহকারীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বাস থেকে নামার চেষ্টা করেন। তখন পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরেন সেই সহকারী। তখন সেই ছাত্রী নিজেকে রক্ষার জন্য চিৎকার করে চালককে বাস থামাতে বলেন।
কিন্তু চালক বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাস কিছুটা গতি কমালে ছাত্রী লাফ দেন। পরে ঘটনা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া হলে লালবাগ থানা প্রাথমিক অনুসন্ধানে নামে। পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে খুঁজে বের করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করে।