বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমপি শিবলী জমি দখল করেননি, দাবি সংবাদ সম্মেলনে

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ১৬:২৩

সংবাদ সম্মেলনে আদিবাসী নেতা শ্যামল মার্ডি বলেন, ‘এমপি শিবলী সাদিক ও তার চাচা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। তাদের কারণে আফতাবগঞ্জ থেকে একজন আদিবাসীও এলাকাছাড়া হননি বা তারা ভারতে যাননি।’

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সাংসদ শিবলী সাদিক ও তার চাচা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি দখল নিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের করা সংবাদ সম্মেলনকে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় আদিবাসী নেতারা।

জেলা প্রেস ক্লাবে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আদিবাসী নেতারা এ দাবি করেন।

এ সময় এমপি শিবলী সাদিকের ‘বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে পাঁচ শতাধিক আদিবাসী মানববন্ধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন স্থানীয় আদিবাসী নেতা শ্যামল মার্ডি। এ সময় বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন পাহান, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম সবুজ, এমপি শিবলী সাদিকের ব্যক্তিগত সহকারী শ্রীমন এস সরেন ও আদিবাসী সালেমান মার্ডিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ছয়জন আদিবাসীকে দিয়ে এমপি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করায়।

এমপি শিবলী সাদিকের পরিবার সম্প্রতি প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ করছেন। এ ছাড়া নিজস্ব জায়গায় তার একক প্রচেষ্টায় আফতাবগঞ্জ হাট, দুটি কলেজ, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, পুলিশ ফাঁড়ি, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ অনেক অবকাঠামো নির্মাণের চেষ্টায় রয়েছেন। আজ তাদেরকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সমাজে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি অংশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দিনাজপুর-৬ আসন নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট এ চারটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপজেলা চারটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ছেলে বর্তমান এমপি শিবলী সাদিক ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেননি।

এমপি শিবলীর চেষ্টায় চার উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বয়স ও সময়ের তুলনায় অনেক দ্রুত তার সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনপ্রিয়তা অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এমপি শিবলী সাদিক ও তার দলকে জনগণের কাছে হেয় করতে ও বিএনপি-জামায়াতকে দিনাজপুর-৬ আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে মেতেছে।

সেই কুচক্রী মহল নিজেরাই হিন্দু, আদিবাসীদের জমি দখল, কয়লা পাচার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যে জড়িত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত শনিবার ছয়জন আদিবাসী তাদের জমি দখলের অভিযোগ এনে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে জমির দাগ, খতিয়ান, মৌজা কিছুরই উল্লেখ নেই। কারও জমি নিজ দখলে থাকলে তার কাছে সেই জমির দলিল, পর্চা, খাজনা ও খারিজ থাকবে।

কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে দলিলের কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বপ্নপুরী’র নামে ৭৭ দশমিক ৬১ একর জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এখন পর্যন্ত স্বপ্নপুরীর মোট জমির পরিমাণ ৫৬ একর।

মিথ্যা ওই সংবাদ সম্মেলনে স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেনকে ভূমিদস্যু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দেলোয়ার হোসেন নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৩৪ বছরে চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্মেলনে তার যে সমর্থকদের গুণ্ডা বাহিনী আখ্যায়িত করা হয়েছে তারা সকলেই সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত ব্যক্তি।

সংবাদ সম্মেলনে আদিবাসী নেতা শ্যামল মার্ডি বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেনের অত্যাচারে শত শত আদিবাসী জনগোষ্ঠী এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার যে অভিযোগ তারা করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। আফতাবগঞ্জ এলাকা থেকে একজন আদিবাসীও এলাকাছাড়া নেই বা তারা ভারতে যাননি।’

এর আগে শিবলী সাদিক ও তার চাচা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৭৭ দশমিক ৬১ একর জমি দখলের অভিযোগ ওঠে।

দখল করা জমিগুলো পিকনিক স্পট ‘স্বপ্নপুরী’র বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কয়েকজন। জমিগুলো ফেরত চাওয়ায় তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে ভারতে চলে যেতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

শনিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের খালিপপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছয় প্রতিনিধি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

তারা হলেন গণেশ হেমরম, উকিল হেমরম, রবেন মার্ডি, লুইস হাসদা অখিল হেমরম, সলেমন মার্ডি ও খুকুমনি হেমরম।

এ বিভাগের আরো খবর