বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিএনপি দিনের বেলায় সিল মারত, রাতে দেয়া লাগবে কেন’

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ১৪:৫০

আর বিভিন্ন নির্বাচনে দলটির নেতাকর্মীরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে জোর করে সিল মারত। কাজেই তাদের রাতে ভোট দেয়া লাগবে কেন? পাশাপাশি বিএনপির আমলে মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি নেতারা কোন মুখে নির্বাচনের কথা বলে- এ কথাও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অভিযোগ, এই দলটি অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছে। আর ক্ষমতায় থাকাকালে দলটির কর্মীরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে জোর করে সিল মারত।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট হয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, তাই তাদের রাতে ভোট দেয়া লাগবে কেন?

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনের আগে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ প্রধান। তিনি এই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হন ভার্চুয়ালি।

বিএনপি কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ করছে যে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হলে ২০১৪ সালের মতোই ভোট বর্জন করে আন্দোলনে নামার হুমকিও এসেছে।

বিএনপি নেতাদের দাবি, ২০১৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে ভোটে অংশ নিলেও তাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় সিল দিয়ে আওয়ামী লীগকে জেতানো হয়।

বিএনপির ভোট বর্জনের হুমকির জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ক্ষমতায় আসা তো নির্বাচনের পথ ধরে নয়। অবৈধভাবে এবং সংবিধান লঙ্ঘন করে।

‘আর বিভিন্ন নির্বাচনে দলটির নেতাকর্মীরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে জোর করে সিল মারত। কাজেই তাদের রাতে ভোট দেয়া লাগবে কেন? পাশাপাশি বিএনপি আমলে মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার ছিল না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালের ১ অক্টোবরে নির্বাচন। সে নির্বাচন কি নির্বাচন হয়েছিল? সেখানে কি কোনো মানুষ ভোট দিতে যেতে পেরেছে?

‘সমস্ত বাংলাদেশে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। সিল মারা বলে, এরা (বিএনপি) তো প্রকাশ্যে সিল মারত। এটা রাতের ভোট না, এক একটা বাসে করে যাবে, বিএনপির সন্ত্রাসীরা এক একটা বুথে ঢুকবে, সিল মারবে বাক্স ভরবে চলে আসবে। সেটা না পারলে সোজা ঘোষণা।

‘এসব প্রক্রিয়ায় মাগুরা নির্বাচন, মিরপুরে নির্বাচন, ঢাকা-১০ এ ফালু যখন নির্বাচন করে- এগুলো তো মানুষের চোখে দেখা। ‌ তখন মানুষ তো ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দেয়ার অধিকারী ছিল না বিএনপির আমলে। তাদের কাছে কথা শুনতে হয় নির্বাচন নিয়ে, তারা কথা বলে কোন মুখে?‘

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গও তোলেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘নির্বাচনের ভিত্তি ধরে তো তাদের ক্ষমতায় আসা না, ক্ষমতায় আসা অবৈধভাবে অথবা দেশ বিক্রির মুচলেকা দিয়ে আসা এই তো।

‘জাতির পিতাকে হত্যা করে মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে যারা দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চেয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী এবং খুনিদের রাজত্ব করেছিল, বাংলাদেশে যেন আর কখনও মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।'

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘সামরিক শাসক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যে দল গঠন করেছিল ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে। তাদের কাছে এখন নানান রকম নীতির কথা শুনতে হয়। যারা এই বাংলাদেশটাকে বানিয়েছিল অস্ত্র চোরাকারবারির একটা জায়গা। সন্ত্রাসীর দেশ জঙ্গিবাদের দেশ, বাংলা ভাই সৃষ্টির দেশ। তারাই এখন নীতির কথা বলে!’

এ বিভাগের আরো খবর