বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ নেতা হত্যার ১৪ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ১৪:১২

২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর নিখিল চন্দ্র মণ্ডল ওই ৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। চার্জশিটে বলা হয়, খান ইবনে জামান চিরকুমার এবং সমকামী ছিলেন। তিনি জোর করে সমকামিতা করতে গেলে আসামিরা তাকে হত্যা করে।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খান ইবনে জামান হত্যা মামলায় ৩ জ‌নের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।

একই সঙ্গে তা‌দের প্রত্যেক‌কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদা‌য়ে আরও ৬ মা‌সের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

হত্যার ১৪ বছর পর খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজা পাওয়ারা হ‌লেন, শেখ তৈ‌য়েবুর রহমান ওর‌ফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ও মো. সোহাগ শেখ। খালাস পেয়েছেন আসা‌মি আশু‌তোষ ব‌্যাপারী। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম ইকবাল হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে নগরীর খালিশপুরে নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে আওয়ামী লীগ নেতা খান ইবনে জামানকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার দুই পা দড়ি দিয়ে এবং হাত একটি লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল। এই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শাহাব উদ্দিন খান ১৪ অক্টোবর অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের আসামি করে খালিশপুর থানায় মামলা করেন।

২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর র‌্যাব সদস্যরা হত্যায় জড়িত অভিযোগে শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু ও মো. সোহাগ নামে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা জামানকে হত্যা করে বলে ওই দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর নিখিল চন্দ্র মণ্ডল ওই ৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। চার্জশিটে বলা হয়, খান ইবনে জামান চিরকুমার এবং সমকামী ছিলেন। তিনি জোর করে সমকামিতা করতে গেলে আসামিরা তাকে হত্যা করে।

২০০৯ সালের ৩ জুন মামলার বাদী মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মুখ্য মহানগর হাকিম মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই আবদুল গফুর ৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা ছিলেন শেখ তৈয়েবুর রহমান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস, মো. সোহাগ ও আশুতোষ ব্যাপারী।

এ বিভাগের আরো খবর