বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড. কামালকে ডাকছে না বিএনপি

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ১০:২৭

আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নব্বইয়ের দশকে ড. কামাল হোসেন গণফোরাম গঠন করেন। তিনি গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধী নির্বাচনি জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা হয়ে সাড়া ফেলে দেন। এই জোটে বিএনপি সবচেয়ে বড় দল হলেও অনেকটা বিস্ময়করভাবেই বর্ষীয়ান এই নেতাকে সামনে নিয়ে আসে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে দলের এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না, সেটি ভোট শেষে নানাভাবে প্রকাশিত হয়।

সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে আওয়ামী লীগের মিত্র ছাড়া সবার সঙ্গে বিএনপি সংলাপের উদ্যোগ নিলেও এই তালিকায় এখন পর্যন্ত নেই ২০১৮ সালে যার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছিল, সেই ড. কামাল হোসেন।

ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব আরও কথা বলেছেন জুনায়েদ সাকীর গণসংহতি আন্দোলনসহ আরও কিছু দলের সঙ্গে। রাজনীতিতে প্রায় ‘গুরুত্বহীন’ পিপলস লীগের সঙ্গেও বসেছে বিএনপি, সব মিলিয়ে ২১টি দল।

বিএনপি স্পষ্টতই উপেক্ষা করছে ড. কামালকে। তবে তিনি বিএনপি ডাক দিলে আলোচনায় আগ্রহী। নিউজবাংলাকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই।

২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর রাতে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠক করে বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নব্বইয়ের দশকে ড. কামাল হোসেন গণফোরাম গঠন করেন। তিনি গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধী নির্বাচনি জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা হয়ে সাড়া ফেলে দেন। এই জোটে বিএনপি সবচেয়ে বড় দল হলেও অনেকটা বিস্ময়করভাবেই বর্ষীয়ান এই নেতাকে সামনে নিয়ে আসে।

তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে দলের এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিল না, সেটি ভোট শেষে নানাভাবে প্রকাশিত হয়। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও এটি পছন্দ করেননি বলে গণমাধ্যমে নানা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এ নিয়ে অবশ্য নেতারা কিছু বলছেন না।

সেই নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যত অকার্যকর, যদিও এর মধ্যে মান্না, রবদের সঙ্গে বিএনপি নেতারা নানা সময় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে, কোথাও নেই কেবল ড. কামাল।

২০১৮ সালে তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন৷ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত

নব্বই দশকে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরাম গঠন করা ড. কামাল জাতীয় ঐক্যের কথা বললেও নিজ দলের ঐক্যই ধরে রাখতে পারলেন না। দুই ভাগ হয়ে গেছে দল। একাংশের সভাপতি হয়ে গেছেন এককালে তার ডেপুটি মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

বিএনপির সংলাপে ড. কামাল নেই কেন- জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়টির ব্যাপারে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। যখন বসব তখন জানতে পারবেন।’

গত নির্বাচন নিয়ে ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে যে আলোচনা সে জন্যই কি তার সঙ্গে বসা হচ্ছে না? এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বললামই তো যে আমরা এখনও সময় নির্ধারণ করিনি, এরপর তো আর কোনো প্রশ্ন থাকে না।’

বিএনপির আগ্রহ না থাকলেও দলটির সঙ্গে বসতে মুখিয়ে ড. কামাল। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি কথা বলতে চায় তাহলে অবশ্যই কথা বলতে পারে। কথা তো বলাই যায়।’

গণফোরামের এক বৈঠকে ডা. কামাল হোসেন ও মোস্তফা মহসিন মন্টু (ডানে)। ফাইল ছবি

এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতো আপনাকে কোনো জোটের নেতৃত্বে দেখা যাবে কি না জানতে চাইলে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘দেখা যাক, হতে পারে। আলাপ-আলোচনা চলতেই থাকবে। তার মধ্য দিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি এবং একটি অর্থপূর্ণ ঐক্য গড়ে উঠতে পারে। সে চেষ্টা আমাদের সব সময় থাকবে, যা ধীরে ধীরে আরও জোরদার হবে।’

ঐক্যফ্রন্টের যে পরিণতি

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ঐক্যফ্রন্টকে আর সক্রিয় অবস্থায় দেখা যায়নি।

ফ্রন্টের অন্যতম নেতা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে ঘোষণা দিয়েই বের হয়ে গেছেন ভোটের পর পর। এমনকি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটে যাওয়ায় নিজেকে গাধাও বলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর