রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য নিতে আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার মামলার সাক্ষ্য নেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এ মামলার সাক্ষী সাদিয়া চৌধুরীর দেয়া সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। একই সঙ্গে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করে। তাদের আবেদন বিবেচনায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
আলোচিত এ মামলায় ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার আসামিরা হলেন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও ভাড়াটে অপরাধী মারুফ রেজা। তাদের মধ্যে সায়েদাতুল মাহমুদা জামিনে আছেন। বাকি তিনজন কারাগারে।
মামলায় বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে নিতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছানোমাত্রই দুষ্কৃতকারীরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
ওইদিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরার স্বামী সালাম চৌধুরী। প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করলেও গোয়েন্দা পুলিশ মিন্টু ওরফে মরণ নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তে বর্তমান আসামিদের নাম আসে।